লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৬ শিশুকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মোবারক (২৮) নামের এক মাদ্রাসা পরিচালক ও শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কালিদাসেরবাগ গ্রাম থেকে তাকে আটোক করা হয়। সে রায়পুর উপজেলার চর কাচিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষকের মাদ্রাসা মুসলিমাবাদ তালীমুল কোরআন ইসলামী একাডেমি বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
আটকের পর সন্ধ্যায় এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয় চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোবারক হোসেন ছয়জন শিশু ছাত্রকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন করেছেন। ঘটনাগুলো গোপন রাখতে তিনি ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে শপথ করান এবং তা মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন। সম্প্রতি এক শিশু নিপীড়নের পর রক্তক্ষরণের বিষয়টি নজরে এলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে মোবারককে আটকের পর মাদরাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিমতানুর রহমান বলেন, একাধিক শিশু ছাত্রকে যৌন নিপীড়নে অভিযোগে মাদরাসার পরিচালককে আটক করা হয়। পরে মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পশ্চিম কালিদাসেরবাগ এলাকায় মুসলিমাবাদ তালীমুল কোরআন ইসলামী একাডেমি চালু করেন মোবারক হোসেন। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি এই মাদরাসাটি পরিচালনা করে আসছেন। এতে ৩০ জন ছাত্র আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে আসছিল।