নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু যখন গুরুতর আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। এই প্রবণতা এখনো পর্যন্ত ঢাকা শহরের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি একই সাথে কোভিড১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।
ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তির রেকর্ড।আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৭৪ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪৪ জন ঢাকার বাইরের জেলার বাসিন্দা। মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে এক হাজার ২০২ জনকে চলতি মাসে শনাক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো দ্রুত ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটছে।
গত মাসে ২৭২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিল। মে মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ছিল ৪৩ জন। তবে হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ৪২২ জন এখনো ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিন জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ডেঙ্গু বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের একটি। এই জ্বরে আক্রান্ত একদিকে যেমন দূর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেশ শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন। তবে ডেঙ্গু প্রাণঘাতি কোনো রোগ নয়। বিশ্রাম ও নিয়মমাফিক চললে এ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার।
সাধারনত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। শীতকালে এই জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় ডেঙ্গু মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতেই সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত মশা বিস্তার লাভ করে। সাধারণত শহর অঞ্চলে অভিজাত এলাকায়, বড় বড় দালান কোঠায় এই মশার প্রাদুর্ভাব বেশি, তাই ডেঙ্গু জ্বরও এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়। বস্তিতে বা গ্রামে বসবাসরত লোকজনের ডেঙ্গু কম হয় বা একেবারেই হয় না বললেই
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।