মোরশেদ পাটওয়ারীঃ- পোশাক শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে চলমান বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সরকার পরিবহন লঞ্চ চলাচলের অব্যহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। করোনা মহামারির মধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে শিল্প-কারখানা, রপ্তানিমুখি এসব কারখানায় শ্রমিকদের যোগ দেওয়ার জন্য লঞ্চ চলাচলের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তবে কোন সময় পর্যন্ত চলবে তা স্পষ্ট নয়? এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ,অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রবিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বলেন, ‘লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে, এমন একটি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। অনেক যাত্রী, সরকার যে উদ্দেশ্যে লঞ্চ চালুর নির্দেশ দিয়েছেন সেটা ১২টার মধ্যে পূরণ হবে না। সেজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে।
কোন সময় পর্যন্ত চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লঞ্চ চলবে আপাতত এটা বলতে পারি। কোন সময় পর্যন্ত চলবে তা বলতে পারছি না। সেই নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রবিবার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার।
এই ঘোষণার পর গতকাল শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ইদে বাড়ি গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকে পড়া শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে সীমাহীন দুর্ভোগ সয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণে চর ইদুল আজহাকে সামনে রেখে আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সরণের এখন রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাকেও বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
পরিশেষে আমরা সকলেই মাক্স ব্যবহার করি।